মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (মে ১৯, ১৯০৮ - ডিসেম্বর ৩, ১৯৫৬) একজন বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তাঁর প্রতিভা দিয়ে তিনি বাংলা উপন্যাস এবং ছোটগল্পের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] জন্ম
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালের ১৯শে মে সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতৃদত্ত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাকনাম মানিক। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ঢাকার বিক্রমপুরে। পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা নীরদা দেবী।
[সম্পাদনা করুন] শিক্ষা ও কর্মজীবন
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় এবং ১৯২৮ সালে বাঁকুড়ার ওয়েসলিয়ান মিশন থেকে আই.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে অংকে অনার্স নিয়ে বি.এস.সি. ক্লাসে ভর্তি হন। এসময় সাহিত্যচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং একাডেমিক পড়াশুনার ইতি ঘটে। লেখাই হয়ে উঠে তাঁর মূল পেশা। তিনি কিছুদিন 'নবারুণ' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে এবং 'বঙ্গশ্রী' পত্রিকার সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৩৯ সালে একটি প্রেস ও প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা বেশিদিন চালানো সম্ভব হয়নি। ১৯৪৩ সালে কয়েকমাস সরকারী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
[সম্পাদনা করুন] ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন
১৯৩৫ সালে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগ মৃত্যুকাল অবধি তাঁর সঙ্গী ছিল। ১৯৩৮ সালে সুরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কণ্যা কমলা দেবীর সঙ্গে মানিকের বিয়ে হয়। ১৯৪৪ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। এসময় থেকে তাঁর লেখায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
[সম্পাদনা করুন] গ্রন্থতালিকা
[সম্পাদনা করুন] উপন্যাস
জননী (১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬),জীবনের জটিলতা (১৯৩৬), অমৃতস্য পুত্রাঃ (১৯৩৮), অহিংসা (১৯৪১), ধরাবাঁধা জীবন (১৯৪১), চতুষ্কোণ (১৯৪২), প্রতিবিম্ব (১৯৪৩), দর্পণ (১৯৪৫), চিন্তামণি (১৯৪৬), চিহ্ন (১৯৪৭), আদায়ের ইতিহাস (১৯৪৭), জীয়ন্ত (১৯৫০), পেশা (১৯৫১), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১), সোনার চেয়ে দামী(প্রথম খন্ড) (১৯৫১), সোনার চেয়ে দামী(দ্বিতীয় খন্ড) (১৯৫২), ইতিকথার পরের কথা (১৯৫২), পাশাপাশি (১৯৫২), সার্বজনীন (১৯৫২), নাগপাশ (১৯৫৩), ফেরিওয়ালা (১৯৫৩), আরোগ্য (১৯৫৩), চালচনন (১৯৫৩), তেইশ বছর আগে পরে (১৯৫৩), হরফ (১৯৫৪), শুভাশুভ (১৯৫৪), পরাধীন প্রেম (১৯৫৫), হলুদ নদী সবুজ বন (১৯৫৬), মাশুল (১৯৫৬)।
[সম্পাদনা করুন] ছোটগল্প
অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮), সরীসৃপ (১৯৩৯), বৌ (১৯৪০), সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩), ভেজাল (১৯৪৪), হলুদপোড়া (১৯৪৫), আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬), পরিস্থিতি (১৯৪৬), খতিয়ান (১৯৪৭), মাটির মাশুল (১৯৪৮), ছোট বড় (১৯৪৮), ছোট বকুলপুরের যাত্রী (১৯৪৯), ফেরিওলা (১৯৫৩), লাজুকলতা (১৯৫৪)।
[সম্পাদনা করুন] নাটক
ভিটেমাটি (১৯৪৬)
[সম্পাদনা করুন] মৃত্যু
১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।