লিভারপুল ফুটবল ক্লাব
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিভারপুল ফুটবল ক্লাব (লিভারপুল নামেই বেশি পরিচিত) লিভারপুল, ইংল্যান্ড এ অবস্থিত একটি ফুটবল দল। এরা এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ খেলে থাকে ও ইংরেজ ফুটবল ইতিহাসের সফলতম দল। লিভারপুল ১৮টি প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ, ৭টি এফ.এ. কাপ, ৭টি লীগ কাপ, ৫টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ও ৩টি উয়েফা কাপ জিতেছে। লিভারপুল ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় দলের গ্রুপ [[জি-১৪] এর সদস্য।
১৫ মার্চ ১৮৯২ সালে জন হোল্ডিং, এনফিল্ড এর মালিক, ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভাড়া নিয়ে বিতর্ক উঠার পর এভারটন এনফিল্ড ছেড়ে যাওয়ায় হোল্ডিং নিজের একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এর আসল নাম ছিল এভারটন এফ.সি. এন্ড এথলেটিক গ্রাউন্ডস, লিমিটেড, সংক্ষেপে এভারটন এথলেটিক। কিন্তু ফুটবল এসোসিয়েশন দলকে এভারটন হিসেবে গ্রহন করতে অসম্মতি জানালে নাম পরিবর্তন করে লিভারপুল এফ.সি. রাখা হয়। দু'বছর পর লিভারপুল ফুটবল লীগে অংশ নেয়।
ক্লাবটি ইউরোপীয়ান ফুটবল ইতিহাসে দুটি মারাত্নক ট্রাজেডীর মুখোমুখি হয়েছে — ১৯৮৫ সালে হেইসেলে যখন ৩৯ জন দর্শক মারা যায়[১], এবং ১৯৮৯ সালে হিলসবোরোতে যেখানে ৯৬ জন মানুষ মারা যায়[২]। হেইসেলের পরে উয়েফার ম্যাচগুলোতে ইংরেজ দলগুলো ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। লিভারপুলকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু অন্যান্য ইংরেজ দলগুলোর এক বছর পরেই তাদের খেলতে দেয়া হয়। হিলসবোরো দুর্ঘটনার পর মাঠের নিরাপত্তার প্রতি ইংরেজ দলগুলির টনক নড়ে।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] ক্লাব রেকর্ড ও পরিসংখ্যান
ইয়ান ক্যালাহান লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪৮ টি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৫৮-৭৮ পর্যন্ত ১৯টি মৌসুমে। ৬৪০ টি লীগ খেলার রেকর্ডও তার দখলে। বর্তমান একাদশে ৪১৯ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে জেমি ক্যারেঘার এর (১৯ আগস্ট, ২০০৬ পর্যন্ত)। ক্যারেঘারের ২৯০ টি প্রিমিয়ার লীগ খেলাও একটি ক্লাব রেকর্ড।
লিভারপুলের হলে সব সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন ইয়ান রাশ, যিনি ৩৪৬ টি গোল করেছেন ১৯৮০-১৯৮৭ ও ১৯৮৮-১৯৯৬ মৌসুমগুলোতে। ১৯৮৩-৮৪ তে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪৭ গোল দেয়ার রেকর্ডও তার। যদিও রাশ সর্বোচ্চ লীগ গোল দেয়ার রেকর্ড গড়তে পারেননি। এ রেকর্ড গড়েছেন রজার হান্ট ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ২৪৫ গোল দিয়ে। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে ৪১ গোল দিয়ে হান্ট এক মৌসুমে সর্বোচ্চ লীগ গোল দেন। গর্ডন হজ্সন ক্লাবের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ১৭ টি হ্যাট্রিক করে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের রেকর্ডধারী। এক খেলায় সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন এন্ডি ম্যাকগিগান, জন ইভানস, ইয়ান রাশ ও রবি ফাউলার। রবি ফাউলার ক্লাব ও প্রিমিয়ার লীগের রেকর্ড করেছেন দ্রুততম ৪ মিনিট, ৩২ সেকেন্ডে হ্যাট্রিক করে (আর্সেনাল এর বিপক্ষে)।
লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয় ১১-০ ব্যাবধানে ১৯৭৪ সালে। গোলকীপার ছাড়া দশজনের মধ্যে নয়জনই এতে গোল করেন - একটি লিভারপুল রেকর্ড। ১৯৮৯ সালে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে লিভারপুল সবচেয়ে বড় ব্যাবধানে লীগ খেলা জিতে ৯-০ তে।
[সম্পাদনা করুন] বর্তমান দল
|
|
[সম্পাদনা করুন] ধারে অন্য দলে
|
[সম্পাদনা করুন] স্মরনীয় সাবেক খেলোয়াড়
- এপ্রাহিম লংওয়র্থ
- এলিশা স্কট
- গর্ডন হজসন
- রন ইয়েটস
- রজার হান্ট
- এলান হ্যানসেন
- কেনি ড্যালগ্লিশ
- ইয়ান রাশ
- জন অল্ড্রিজ
- জন বার্নস
- পিটার বার্ডস্লে
[সম্পাদনা করুন] বর্তমান স্টাফ
ম্যানেজার | রাফায়েল বেনিটেজ |
সহকারী ম্যানেজার | পাকো এস্টেরান |
প্রথম দলের কোচ | এলেক্স মিলার |
রিজার্ভ দলের ম্যানেজার | গ্যারি এবলেট |
রিজার্ভ দলের কোচ | হিউগি ম্যাকঅলি |
গোলরক্ষক কোচ | জোসে ওচোটোরেনা |
রিক্রুট প্রধান | ম্যালকম এলিয়াস |
যুগ্ম প্রধান স্কাউট | ফ্রাঙ্ক ম্যাকপারলান্ড ও এডুয়ার্দো ম্যাসিয়া |
একাডেমি পরিচালক | স্টীভ হেইওয়ে |
সাইকোথেরাপিস্ট | মার্ক ব্রোস, রব প্রাইস, ভিক্টর সালিনাস |
ক্লাব masseur | জন রাইট |
Masseurs | পল স্মল, স্টুয়ার্ট ওয়েলস, জন রাইট |
দলের ডাক্তার | মার্ক ওয়ালার |
পোষাক ব্যাবস্থাপক | গ্রাহাম কার্টার |
[সম্পাদনা করুন] ম্যানেজার
১৯ আগস্ট, ২০০৬ এর আগ পর্যন্ত।
নাম | জাতীয়তা | দায়িত্ব শুরু | দায়িত্ব শেষ | রেকর্ড | |||
---|---|---|---|---|---|---|---|
খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | ||||
ডব্লিউ. ই. বার্কলে ও জন ম্যাককেনা [৩] | আগস্ট ১৮৯২ | জুলাই ১৮৯৬ | ১০১ | ৫৮ | ১৭ | ২৬ | |
টম ওয়াটসন | আগস্ট ১৮৯৬ | মে ১৯১৫ | ৭৪০ | ৩২৭ | ১৪১ | ২৭২ | |
ডেভিড এশওর্থ | ডিসেম্বর ১৯২০ | ফেব্রুয়ারী ১৯২৩ | ৫৮ | ২৫ | ২৪ | ৯ | |
ম্যাট ম্যাককুইন | ফেব্রুয়ারী ১৯২৩ | ফেব্রুয়ারী ১৯২৮ | ২২৯ | ৯৪ | ৬১ | ৭৪ | |
জর্জ প্যাটারসন | ফেব্রুয়ারী ১৯২৮ | মে ১৯৩৬ | ৩৭০ | ১৩৯ | ৮৬ | ১৪৫ | |
জর্জ কে | মে ১৯৩৬ | ফেব্রুয়ারী ১৯৫১ | ৩৫৯ | ১৪৩ | ৯৩ | ১২৩ | |
ডন ওয়েলস | মার্চ ১৯৫১ | মে ১৯৫৬ | ২৩৪ | ৮২ | ৬০ | ৯২ | |
ফিল টেইলর | মে ১৯৫৬ | নভেম্বর ১৯৫৯ | ১৫৩ | ৭৭ | ৩২ | ৪৪ | |
বিল শ্যাঙ্কলি | ডিসেম্বর ১৯৫৯ | ১৯৭৪ | ৭৫৩ | ৩৯৩ | ১৮৫ | ১৭৫ | |
বব পেইসলি | জুলাই ১৯৭৪ | মে ১৯৮৩ | ৪৯০ | ২৭৫ | ১২৪ | ৯১ | |
জো ফ্যাগান | মে ১৯৮৩ | মে ১৯৮৫ | ১২২ | ৬৫ | ৩৪ | ২৩ | |
কেনি ড্যালগ্লিশ | মে ১৯৮৫ | ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ | ২৯৭ | ১৮০ | ৭৬ | ৪১ | |
রনি মোরান [৪] | ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ | এপ্রিল ১৯৯১ | ১০ | ৪ | ১ | ৫ | |
গ্রায়েম সাউনেস | এপ্রিল ১৯৯১ | জানুয়ারী ১৯৯৪ | ১৫৭ | ৬৫ | ৪৭ | ৪৫ | |
রয় ইভানস | জানুয়ারী ১৯৯৪ | জুলাই ১৯৯৮ | ২২৬ | ১১৬ | ৫৭ | ৫৩ | |
রয় ইভানস ও জেরার্ড হাউলির [৩] | / | জুলাই ১৯৯৮ | নভেম্বর ১৯৯৮ | ১৮ | ৭ | ৬ | ৫ |
জেরার্ড হাউলির [৫] | নভেম্বর ১৯৯৮ | মে ২০০৪ | ৩০৬ | ১৫৭ | ৭৫ | ৭৪ | |
রাফায়েল বেনিটেজ | জুন ২০০৪ | বর্তমান | ১২৪ | ৭০ | ২৪ | ৩০ |
[সম্পাদনা করুন] সম্মাননা
- ফূটবল লীগ খেতাবঃ ১৮
- ১৯০১, ১৯০৬, ১৯২২, ১৯২৩, ১৯৪৭, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৭৩, ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০
- ফূটবল লীগ দ্বিতীয় বিভাগ খেতাবঃ ৪
- ১৮৯৪, ১৮৯৬, ১৯০৫, ১৯৬২
- ল্যাঙ্কাশায়ার লীগ খেতাবঃ ১
- ১৮৯৩
- ইউরোপীয়ান কাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ খেতাবঃ ৫
- ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৪, ২০০৫
- উয়েফা কাপঃ ৩
- ১৯৭৩, ১৯৭৬, ২০০১
- এফএ কাপঃ ৭
- ১৯৬৫, ১৯৭৪, ১৯৮৬, ১৯৮৯, ১৯৯২, ২০০১, ২০০৬
- এফএ যুব কাপঃ ২
- ১৯৯৬, ২০০৬
- লীগ কাপঃ ৭
- ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৯৫, ২০০১, ২০০৩
- কমিউনিটি শিল্ডঃ ১৫
- ১৯৬৪ (যৌথ), ১৯৬৫ (যৌথ), ১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৭৭ (যৌথ), ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৬ (যৌথ), ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০ (যৌথ), ২০০১, ২০০৬
- ইউরোপীয়ান সুপার কাপঃ ৩
- ১৯৭৭, ২০০১, ২০০৫
- সুপার কাপঃ ১
- ১৯৮৬
[সম্পাদনা করুন] টুকিটাক
- ↑ এই দিনে - ২৯ মে ১৯৮৫ বিবিসি অনলাইন - news.bbc.co.uk
- ↑ এই দিনে - ১৫ এপ্রিল ১৯৮৯ বিবিসি অনলাইন - news.bbc.co.uk
- ↑ ৩.০ ৩.১ যুগ্ম ম্যানেজার
- ↑ তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত
- ↑ হাউলির অক্টোবর ২০০১ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০০২ পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত কারনে অনুপস্থিত ছিলেন। এসময় ফিল থম্পসন অস্থায়ী ম্যানেজার (খে৩৩ জ১৬ ড্র১২ প৫) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পরিসংখ্যান হাউলির রেকর্ডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
[সম্পাদনা করুন] বহিঃসংযোগ
জি-১৪ এর সদস্যগন | ||
আয়াক্স | আর্সেনাল | বার্সেলোনা | বেয়ার লেভারকুজেন | বায়ার্ন মিউনিখ বরুসিভা ডর্টমুন্ড | পি.এস.ভি. আইন্দোভেন | ইন্টারন্যাজিওন্যাল | জুভেন্টাস লিভারপুল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | এসি মিলান | লিওন | মার্সেই প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন | এফসি পোর্তো | রিয়াল মাদ্রিদ | ভ্যালেন্সিয়া |