জগদীশ চন্দ্র বসু
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু (নভেম্বর ৩০, ১৮৫৮ – নভেম্বর ২৩, ১৯৩৭) একজন সফল বাঙালি বিজ্ঞানী। তিনি আবিষ্কার করেন যে গাছের প্রাণ আছে। তিনি ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার রাঢ়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার গবেষণার প্রধান দিক ছিল উদ্ভিদ ও তড়িৎ চৌম্বক। তার আবিষ্কারের মধ্যে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ, উদ্ভিদের দেহের উত্তেজনার বেগ নিরুপক সমতল তরুলিপি যন্ত্র রিজোনাষ্ট রেকর্ডার অন্যতম। ১৮৯৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় বসুকে ডি.এস.সি দেন। ১৯১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘নাইট’ খেতাব দেয়। ১৯১৯ সালে এভারডিন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.এস.সি দেয়। ১৯২০ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে বেলজিয়ামের রাজা তাকে কমান্ডার অফ দি অর্ডার অব লিওপোল্ট এ ভূষিত করেন। ১৯২৭ সালে তিনি ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের সভাপতি হন। ১৯৩৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.এস.সি প্রদান করে। ১৯৩৭ সালের ২৩শে নভেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন।
জগদীশ চন্দ্রের স্ত্রী লেডী অবলা বসু ছিলেন একজন বিদূষী ডাক্তার ও শিক্ষাবিদ।
জগদীশ চন্দ্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলা ভাষায় ছোটদের বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য জগদীশ চন্দ্র 'অব্যক্ত' নামে একটা বই লিখেছিলেন।