বাংলাদেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০০৫ সালের উপাত্ত অনুযায়ী ১৪ কোটি ৬০ লাখ। [১] এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২% [১] (২০০৫ সালের হিসাব)। বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০৬। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী (০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০%, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩%)। এখানকার পুরুষ ও মহিলাদের গড় আয়ু ৬৩ বছর। [১]
জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮% মানুষ বাঙ্গালী। বাকি ২% মানুষ বিহারী বংশদ্ভুত, অথবা বিভিন্ন উপজাতীর সদস্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতি গুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য।
দেশের ৯৯% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। সরকারী কাজকর্মে ইংরেজীও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে ১৯৮৭ সাল হতে কেবল বৈদেশিক যোগাযোগ ছাড়া অন্যান্য সরকারী কর্মকান্ডে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম (৮৮%)। এর পরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১১%)। বাকি ১% মানুষ বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, অথবা অগ্নিপূজক ধর্মে বিশ্বাসী।'মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪% শহরে বাস করে, বাকি ৭৮.৬% গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী।
সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনসাস্থ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। [২] আর্সেনিক জনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। [৩] এছাড়া বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে
২০০৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৪১% [৪] ইউনিসেফের ২০০৪ সালের হিসাবে পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫০% এবং নারীদের মধ্যে ৩১%। [৫] তবে সরকারের নেয়া নানা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। [৬] এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। [৭]
[সম্পাদনা করুন] তথ্যসূত্র
- ↑ ১.০ ১.১ ১.২ World Health Report 2005. World Health Organization.
- ↑ Congressional Budget Justification - FY 2005. USAID.
- ↑ Nickson, R, J McArthur, W Burgess, KM Ahmed, P Ravenscroft, M Rahman (1998). "Arsenic poisoning of Bangladesh groundwater". Nature (6700): 338.
- ↑ 2005 Human Development Report. UNDP.
- ↑ UNICEF: Bangladesh Statistics.
- ↑ Ahmed, A; C del Nino (2002). The food for education program in Bangladesh: An evaluation of its impact on educational attainment and food security, FCND DP No. 138. International Food Policy Research Institute.
- ↑ Khandker, S; M Pitt, N Fuwa (2003). Subsidy to Promote Girls’ Secondary Education: the Female Stipend Program in Bangladesh. World Bank, Washington, DC.
[সম্পাদনা করুন] আরও দেখুন
এশিয়ার জনসংখ্যার পরিসংখ্যান (Asia) - সম্পাদনা |
---|
আজারবাইজান (Azarbaijan) • আফগানিস্তান (Afghanistan) • ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) • ইয়েমেন (Yemen) • ইরাক (Iraq) • ইরান (Iran) • ইসরায়েল (Israel) • উজবেকিস্তান (Uzbekistan) • উত্তর কোরিয়া (North Korea) • ওমান (Oman) • ক্যাম্বোডিয়া (Cambodia) • কুয়েত (Kuwait) • কাজাকিস্তান (Kazakhstan) • কাতার (Qatar) • কিরগিজিস্তান (Kyrgyzstan) • চীন (China) • জর্ডান (Jordan) • জাপান (Japan) • তুর্কমেনিস্তান (Turkmenistan) • তুরস্ক (Turkey) • তাজিকিস্তান (Tajikistan) • থাইল্যান্ড (Thailand) • দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) • নেপাল (Nepal) • পূর্ব তিমুর (East Timor) • পাকিস্তান (Pakistan) • ফিলিপাইন (The Phillipines) • ব্রুনাই (Brunei) • বাংলাদেশ (Bangladesh) • বাহরাইন (Bahrain) • ভুটান (Bhutan) • ভারত (India) • ভিয়েতনাম (Vietnam) • মঙ্গোলিয়া (Mongolia) • মায়ানমার (Myanmar) • মালদ্বীপ (Maldives) • মালয়েশিয়া (Malaysia) • লাওস (Laos) • লেবানন (Lebanon) • শ্রীলংকা (Sri Lanka) • সংযুক্ত আরব আমিরাত (United Arab Emirates) • সাইপ্রাস (Cyprus) • সিঙ্গাপুর (Singapore) • সিরিয়া (Syria) • সৌদি আরব (Saudi Arabia) |
ইতিহাস • প্রশাসনিক অঞ্চল • ভূগোল • অর্থনীতি • রাজনীতি • জনসংখ্যার পরিসংখ্যান • সংস্কৃতি • পরিবহন ব্যবস্থা • পর্যটন • সামরিক বাহিনী • ভাষা • ধর্মবিশ্বাস • সংবাদপত্র • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ • জাতীয় পতাকা • জাতীয় সঙ্গীত • শহর