ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ঢাকা শহরের প্রধান কারাগার। এটি পুরনো ঢাকার চানখাঁরপুলে অবস্থিত। ঢাকা বিভাগের এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের এখানে দন্ডপ্রদানের জন্য আটক রাখা হয়। এছাড়াও ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানার মামলায় বিচারাধীন লোকদিগকে, বিচারকালীন সময়ে আটক রাখার স্থান হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। বিচারাধীন আটক ব্যক্তিকে বলা হয় হাজতী। ১৯৭৫ সালে এই কারাগারে আটক জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] ওয়ার্ড ও এলাকা
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিভক্ত। অপ্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ ও মহিলাদের পৃথক রাখা হয়। বিদেশী নাগরিকদের জন্যও রয়েছে পৃথক স্থান।
- আমদানী
- বহির্গমন
- কেস টেবিল
- খাতা
- সেল
- ফরেন সেড
- মেন্টাল
- দফা
- চৌকা
- কনডেমন্ড সেল
- ফাঁসির মঞ্চ
[সম্পাদনা করুন] নিরাপত্তা রক্ষী ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী
কারা অভ্যন্তরের সরকারী নিরপত্তা রক্ষীদের মিয়াসাব বলা হয়, মিয়াসাবদের উপরে রয়েছেন জমাদার সাহেবগন এবং তাদের তত্তাবধানে থাকেন সুবেদার সাহেব গন। রয়েছেন একাধিক সাব-জেলার ও একজন জেলার মহোদয়। আর সর্বোপরী রয়েছেন জেল সুপার মহোদয় ও ডিআাইজি প্রিজন।
[সম্পাদনা করুন] কয়েদীদের পদবী
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের কারাভোগের মেয়াদের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পদবী দেয়া হয়। পদবী অনুযায়ী পোষাক ও কাজের ধরণের পরিবর্তন ঘটে। মাঝে মাঝে পুরাতন ওভারসীয়ার কয়েদীদের মধ্যে কেহ শিক্ষিত হলে, তাকে কারাফটকে অবস্থিত অফিসে দাপ্তরিক কাজও করতে দেয়া হয়।
- সাধারণ কয়েদী
- রাইটার
- পাহাড়া
- মেইট
- ওভারসীয়ার
[সম্পাদনা করুন] ফাইল
সারাদিনে প্রত্যহ বেশ কয়েকবার কারাবন্দীদের সংখ্যা গণনার জন্য একেকটি সারীতে ৪ (চার) জন করে বসিয়ে সর্বমোট সারীর সংখ্যা গুনে বন্দীদের সংখ্যা বের করা হয়। চারজনের একেকটি সারীকে ফাইল বলা হয়। খুব ভোরে (ফজরের নামাজের পর) যার যার ওয়ার্ডে একবার ফাইল হয়, তারপর দুপুর বারোটায় একবার এবং লকআপের সময় (আসরের নামাজের পর) আরেকবার ফাইল বসিয়ে গনণা করা হয়। গণনার পূর্বে ফাইল ঠিক, ফাইল ঠিক বলে সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়। তারপর সকল এলাকার ও ওয়ার্ডের যোগফলসমূহ কেসটেবিলে সুবেদার সাহেবের কাছে প্রেরণ করা হয়, তিনি সম্পূর্ণ জেলখানার হিসাব বের করেন এবং জেলার মহোদয়কে অবহিত করেন।