Ebooks, Audobooks and Classical Music from Liber Liber
a b c d e f g h i j k l m n o p q r s t u v w x y z





Web - Amazon

We provide Linux to the World


We support WINRAR [What is this] - [Download .exe file(s) for Windows]

CLASSICISTRANIERI HOME PAGE - YOUTUBE CHANNEL
SITEMAP
Audiobooks by Valerio Di Stefano: Single Download - Complete Download [TAR] [WIM] [ZIP] [RAR] - Alphabetical Download  [TAR] [WIM] [ZIP] [RAR] - Download Instructions

Make a donation: IBAN: IT36M0708677020000000008016 - BIC/SWIFT:  ICRAITRRU60 - VALERIO DI STEFANO or
Privacy Policy Cookie Policy Terms and Conditions
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - Wikipedia

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আরবী ক্যালিগ্রাফিতে "মুহাম্মাদ"
বড় করুন
আরবী ক্যালিগ্রাফিতে "মুহাম্মাদ"

একটি ধারাবাহিক রচনার অংশ যার বিষয়
ইসলামের নবী
মুহাম্মদ



  • কূটনীতিক হিসেবে
  • সেনানায়ক হিসেবে
  • স্বামী হিসেবে
  • সংস্কারক হিসেবে
  • ঐতিহাসিক অবদান

  • ইসলামী ভাবধারা
মিলাদুন নবী
কবিতা
  • অমুসলিম ভাবধারা
ইতিহাস বিচারে
Criticism
  • Depictions

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আরবী উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মদও বলা হয়), (তুর্কী: মুহাম্মেদ) ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ধর্মীয় বিশ্বাসমতে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী (আরবী: النبي an-nabiyyu) (ইংরেজী: The Prophet) অথবা " বার্তাবাহক" (আরবী: الرسول ar-rasūlu)(ইংরেজী: The messenger) যার উপর পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ হয়। অমুসলিমদের মতে মোহাম্মদ (সা:) ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রচারক এবং পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] মুহাম্মদের জন্মের পূর্বে বিশ্বের অবস্থা

  • রোম সম্রাজ্য
  • ভারতবর্ষ
  • ইহুদী
  • খৃস্টান
এই নিবন্ধটি একটি ধারাবাহিক নিবন্ধ শ্রেণীর অংশ যার বিষয় হল

ইসলাম

ইসলামের ইতিহাস

বিশ্বাস ও অনুশীলন

সৃষ্টিকর্তার একত্ব
বিশ্বাস ও সাক্ষ্য
নামাযরোযা
হজ্জ্বযাকাত

প্রধান ব্যক্তিত্ব

হযরত মুহাম্মদ (সা:)
আলীআবু বকর
মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথীবৃন্দ
মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরিবার
ইসলামের পয়গম্বর

গ্রন্থ ও আইন

কুরআনহাদীস • শরীয়ত
আইন • ধর্মতত্ব
মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী

ফিরকাহ

সুন্নী • শিয়া

সামাজিক বিষয়াদি

শিক্ষা • দর্শন
শিল্পকলা • বিজ্ঞান
স্থাপত্য • শহর ও নগর
বর্ষপঞ্জী • বিশেষ দিবস
ইসলাম ও নারী • নেতা
রাজনীতি • ইসলামী চিন্তাধারা • উদারনৈতিকতা

আরও দেখুন

ইসলামী শব্দকোষ


[সম্পাদনা করুন] মুহাম্মদের জন্মের পূর্বে আরবের অবস্থা

  • প্রাচীন আরব
  • আরবের প্রশাসনিক অবস্থা
  • অর্থনৈতিক অবস্থা
  • চারিত্রিক অবস্থা
  • আরবদের ধর্মবিশ্বাস

[সম্পাদনা করুন] ইসলামের আবির্ভাবের জন্য আরবের বিশেষত্ব

বেশ কয়েকজন ঐতিহাসিকের মতে, তখনকার সময় একজন নবীর আগমন এবং তার সফলতা লাভের জন্য আরব দেশ যথেষ্ট উপযুক্ত স্থান ছিল। ইসলামী আন্দোলনের জন্যও তা একটি উর্বর ভূমি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। এজন্যই সেখানে ইসলামের বিজয় সম্ভবপর হয়েছিল। তাদের মতামত অনুসারে ইসলামের ব্যাপক প্রসার সম্ভব হয়েছিল নিম্নে উল্লিখিত কারণে,

  • এটি সুস্পষ্ট যে, কোন মতাদর্শের বিজয়ের জন্য কোন একজন ব্যক্তির জীবনই যথেষ্ট নয় বরং প্রয়োজন একদল যোগ্য লোকের একটি বাহিনী তৈরি যারা সেই মতাদর্শের প্রচার ও প্রসার কাজ আর্জবন চালিয়ে যাবেন। আর এ ধরণের কাজ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষমতা আরব উপদ্বীপের অধীবাসীদের মাঝে তখন পূর্ণ মাত্রায়ই বিরাজমান ছিল। কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি তা হল আরব বিশ্বের মানব অধ্যুসিত এলাকার প্রায় কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল এবং এর সাথে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা সবচেয়ে উন্নত ছিল। মোহাম্মদের জন্মের আগেই আরব বণিকরা সারা বিশ্বে বাণিজ্য উপলক্ষ্যে ঘুরে বেড়াতো। এজন্যই মূলত নবীর হাতে ইসলামের বিজয় সাধিত হওয়া সম্ভবপর হয়েছিল।
  • আরেকটি গুরুত্ব ছিল আরবী ভাষার। বিশ্বের অন্য কোন ভাষী সেই সময়ে এতটা উৎকর্ষ লাভ করেনি যা চিরকাল অপরিবর্তিত রাখা সম্ভবপর। তদুপরি সেই সময়টা ছিল আরবী ভাষার চরম উৎকর্ষের কাল।
  • আরবরা কোন রাজত্বের অধীনে শৃঙ্খলিত ছিলনা। অন্য জাতির গোলামীর কারণে মানুষের মুক্তচিন্তা ও তদসংশ্লিষ্ট যে সকল গুণাবলীর অপমৃত্যু ঘটে তাও প্রশ্নাতীত। আরবের চারদিকে পারস্যরোমের মত দুইটি পরাশক্তির রাজত্ব বিস্তৃত থাকলেও কেউ তাদেরকে পরাজিত করতে পারেনি। এতেই আরবদের শৌর্য্য বীর্যের পরিচয় পাওয়া যায় যা ইসলামী আন্দোলনের আরেকটি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত।
  • আরবদের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল। একটি কথা একবার শুনলেই তা মনে রাখার মত ক্ষমতা তাদের ছিল। এজন্যই ইসলামী শরীয়তের সকল উৎসের হুবুহু সংরক্ষণ সম্ভবপর ছিল যা কোন ধর্মের সার্বজনীনতা এবং সিদ্ধির জন্য একান্তই অপরিহার্য।
  • সর্বোপরি আরবরা ছিল দূর্ধর্ষ জাতি। মরুভূমির রুক্ষতা তাদেরকে পুরোমাত্রায় বাস্তববাদী করে তোলে। ফলে যে মতাদর্শে তারা বিশ্বাসী তা গ্রহন করার পর উপাসনালয়ের এক কোণায় বসে বসে কেবল তার প্রশস্তিকীর্তণ করা তাদের পক্ষে ছিল অসম্ভব বরং সেই মতাদর্শের প্রতিষ্ঠার জন্য মাথা তুলে দাঁড়ানো এবং তাতে সর্বশক্তি ব্যয় করাই ছিল তাদের ধর্ম যা ইসলামের প্রতিষ্ঠার জন্যও অপরিহার্য ছিল।

এই মতামতের ভিত্তিতে ঐতিহাসিকগণ আরো মনে করেন যে,এত সম্ভাবনা সত্ত্বেও ইসলামের প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক বিরুদ্ধবাদিতার মুখোমুখি হতে হয়, কারণ বিরোধী আরবদেরও এই গুণগুলো ছিল এবং তারা মাধা নত করায় অভ্যস্ত ছিলনা। যেহেতু আরবে নেতাদের অত্যধিক সম্মান ছিল এজন্য কেউই চায়নি যে ইসলাম সফলতা পাক এবং এজন্যে তাদের সর্বশক্তি তারা নিয়োগ করে। অর্থাৎ ইসলামের মূল দ্বন্দ্ব ছিল নেতৃত্ব নিয়ে। প্রকৃতপক্ষেই যেকোন মতাদর্শের বিজয়ের জন্য নেতৃত্বই মুখ্য। তবে এই প্রতিকূলতাও মুসলমানদের পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল। তাই সবদিক দিয়েই ইসলামের জন্য আরব ভূমির উর্বরতা স্বতঃসিদ্ধ।

[সম্পাদনা করুন] ইসলামী চরিতাভিধান অনুসারে জীবনী

[সম্পাদনা করুন] জন্ম

হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর জন্মের তারিখ ছিল ১২ ই রবিউল আউয়াল, ইংরেজি সন মোতাবেক ৫৭০ খৃস্টাব্দে। প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা মন্টগোমারি ওয়াট তার পুস্তকে ৫৭০ সনই ব্যবহার করেছেন। তবে নবীর প্রকৃত জন্মতারিখ বের করা বেশ কষ্টসাধ্য। এজন্যই এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যেমন এক বর্ণনা মতে তাঁর জন্ম ৫৭১ সালের ২০ বা ২২ শে এপ্রিল। সাইয়েদ সোলাইমান নদভী, সালমান মনসুরপুরী এবং মোহাম্মদ পাশা ফালাকির গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তবে শেষোক্ত মতই ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেশী নির্ভরযোগ্য। যাই হোক, নবীর জন্মের বছরেই হস্তী যুদ্ধের ঘটনা ঘটে এবং সে সময় সম্রাট নরশেরওয়ার সিংহাসনে আরোহনের ৪০ বছর পূর্তি ছিল এ নিয়ে কারো মাঝে দ্বিমত নেই।

ইসলামের হাদিস অনুসারে মোহাম্মদের জন্মের পূর্বে তার মাতা আমিনা স্বপ্নযোগে আশ্চর্যজনক বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেন। এছাড়া তাঁর জন্মের সময়ও কিছু অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ বিভিন্ন হাদিস সূত্রে পাওয়া যায়। জন্মের পর নবীর দাদা আবদুল মোত্তালেবকে সংবাদ দেয়া হয় এবং তিনি নবজাতককে দেখে যারপরনাই খুশি হন। উল্লেখ্য নবীর জন্মের আগেই তার পিতা আবদুল্লাহ মারা যান। আবদুল মোত্তালেব নবজাতকের নাম রাখেন মোহাম্মদ যে নাম তত্কালীন আরবে খুব একটা প্রচলিত ছিলনা। আরবীতে এই শব্দের অর্থ প্রশংসিত। পরবর্তীতে নবীর আরেকটি নামের উল্লেখ পাওয়া যায় যা তাঁর মাতা রাখেন আর তা হল আহমাদ - এই শব্দের অর্থ প্রশংসাকারী। আরবের নিয়ম অনুযায়ী জন্মের সপ্তম দিনে মোহাম্মদের (সাঃ) খৎনা করানো হয়।

প্রথম কয়েকদিন তিনি তাঁর মায়ের বুকের দুধ পান করেন। এরপর কয়েকদিন তাঁকে দুধ পান করান আবু লাহাবের দাসী সাওবিয়া। উল্লেখ্য আবু লাহাব সম্পর্কে নবীর চাচা হতেন। সে সময় ছাওবিয়ার কোলেও একটি শিশুসন্তান ছিল যার নাম ছিল মাছরুহ। এই সাওবিয়াই এর আগে হামযা ইবনে আবদুল মোত্তালেব এবং পরে আবু সালমা সামা ইবনে আবদুল আছাদ মাখজুমিকে দুধ পান করিয়েছিলেন।

আরবী ক্যালিগ্রাফিতে "মুহাম্মাদ"
আরবী ক্যালিগ্রাফিতে "মুহাম্মাদ"


[সম্পাদনা করুন] বনি সা'দ গোত্রে অবস্থান

তত্কালীন আরবের রীতি ছিল যে তারা মরুভূমির মুক্ত আবহাওয়ায় বেড়ে উঠার মাধ্যমে সন্তানদের সুস্থ দেহ এবং সুঠাম গড়ন তৈরীর জন্য জন্মের পরপরই দুধ পান করানোর কাজে নিয়োজিত বেদুইন মহিলাদের কাছে দিয়ে দিতেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর আবার ফেরত নিতেন। এর আরেকটি কারণ ছিল বিশুদ্ধ আরবী ভাষা শিক্ষা করা। এই রীতি অনুসারে মোহাম্মদকেও হালিমা বিনতে আবু জুয়াইবের (অপর নাম হালিমা সাদিয়া) হাতে দিয়ে দেয়া হয়। এই নারী ছিলেন বনু সা'দ ইবনে বকর গোত্রের (হাওয়াযেন গোত্র) অন্তর্ভুক্ত। হালিমার উপাধি ছিল শায়মা তার স্বামীর নাম ছিলো হারেস ইবনে আবদুল ওযযা আর ডাক নাম আবু কাবশা যিনি একই গোত্রের লোক ছিলেন। তাদের সন্তানদের নাম ছিল যথাক্রমে আবদুল্লাহ, আনিসা, হোযাফা বা জোযামা। তাই হিসেব মতে এরা সবাই ছিল মোহাম্মদের (সাঃ) দুধ ভাই। এছাড়া হালিমার সূত্রে আবু সুফিয়ান ইবনে হারেস ইবনে আবদুল মোত্তালেবও (যে সম্পর্কে নবীর চাচাতো ভাই ছিলো) নবীর দুধ ভাই ছিল।

মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের তারিখ
মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং স্থান
c৫৬৯ পিতা আবদুল্লাহ'র মৃত্যু
c৫৭০ জন্মের সম্ভাব্য সময়, এপ্রিল ২০: মক্কা
৫৭০ আবিসিনীয় রাজা আবরাহার মক্কার কাবা শরীফের উপর ব্যর্থ হামলা
৫৭৬ মাতা আমিনার মৃত্যু
৫৭৮ দাদা আবদুল মেত্তালেবের মৃত্যু
c৫৮৩ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় গমন
c৫৯৫ খাদিজার (রাঃ) সাথে বিয়ে
৬১০ কুরআনের প্রথম আয়াতের (সূরা আলাক: ১-৫) অবতরণ: মক্কা
c৬১০ নবী ও রাসূল হিসেবে আবির্ভাব: মক্কা
c৬১৩ প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত প্রদানের সূচনা: মক্কা
c৬১৪ অনুসারীদের একত্রিতকরণ: মক্কা
c৬১৫ আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া) মুসলমানদের প্রথম হিজরত
৬১৬ বনু হাশিম বংশের সকলকে একঘরেকরণ
c৬১৮ মদীনায় গৃহযুদ্ধ: মদীনা
৬১৯ বনু হাশিম বংশকে একঘরে করে রাখার অবসান
c৬২০ মি'রাজ
৬২২ মদীনায় হিজরত
৬২৪ বদরের যুদ্ধ কুরাইশদের উপর মুসলমানদের বিজয়
৬২৫ উহুদের যুদ্ধ প্রথমে পরাজিত হয়েও বিজয়ীর বেশে মদীনায়
c৬২৫ বনু নাদির গোত্রকে নির্বাসিতকরণ
৬২৬ দুমাতুল জান্দালে আক্রমন: সিরিয়া
৬২৮ খন্দকের যুদ্ধ
৬২৭ বনু কুরাইজা গোত্রের ধ্বংস
c৬২৭ 'বনি ক্বাব গোত্রকে বশীভূতকরণ: দুমাতুল জান্দাল
৬২৮ হুদাইবিয়ার সন্ধি
c৬২৮ ক্বাবা শরীফে প্রবেশাধিকার লাভ
৬২৮ খায়বারের যুদ্ধ ইহুদীদের উপর বিজয় লাভ
৬২৯ প্রথম উমরাহ
৬২৯ বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের উপর আক্রমন: মুতার যুদ্ধ
৬৩০ রক্তপাতহীনভাবে মক্কা বিজয়
c৬৩০ হুনায়েনের যুদ্ধ
c৬৩০ তায়েফের যুদ্ধ তায়েফ অধিকার
৬৩০ আল্লাহ'র শাসন প্রতিষ্ঠা: মক্কা
c৬৩১ আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ এলাকা অধিকার
c৬৩২ রোম ও গাসসান আক্রমন: তাবুকের যুদ্ধ
৬৩২ বিদায় হজ্জ্ব
৬৩২ মৃত্যু (জুন ৮): মদীনা

মোহাম্মদ (সাঃ) এতিম বিধায় প্রথমে কোন নারী তাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য নিতে চায়নি। কিন্তু হালিমা অন্য কোন শিশু সন্তান না পাওয়ায় এই এতিম শিশুটিকেই গ্রহন করেন। কিন্তু এই শিশুকে ঘরে আনার পর দেখা যায় হালিমার সচ্ছলতা ফিরে আসে এবং তারা শিশুপুত্রকে সঠিকভাবে লালনপালন করতে সমর্থ হন। তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য - শিশু মোহাম্মদ কেবল হালিমার একটি স্তনই পান করতেন এবং অপরটি তার অপর দুধভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। দুই বছর লালনপালনের পর হালিমা শিশু মোহাম্মদকে আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু এর পরপরই মক্কায় মহামারী দেখা দেয় এবং শিশু মুহাম্মদকে হালিমার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। হালিমাও চাচ্ছিলেন শিশুটিকে ফিরে পেতে। এতে তার আশা পূর্ণ হল।

ইসলামী বিশ্বাসমতে এর কয়েকদিন পরই একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে - একদিন শিশু নবীর বুক চিরে কলিজার একটি অংশ বের করে তা জমজম কূপের পানিতে ধুয়ে আবার যথাস্থানে স্থাপন করে দেয়া হয়। মুসলমানদের বিশ্বস্ত হাদিস গ্রন্থ মুসলিম শরীফের বর্ণনসূত্রে এই তথ্য পাওয়া যায়। মুসলমানদের বিশ্বাসমতে এর মাধ্যমে মুহাম্মদের দেহ থেকে অপবিত্র সব কিছু ধুয়ে ফেলা হয়েছিল। ইবনে খালদুনের বর্ণনামতে তার অন্তরে নূর ভরে দেয়া হয়। এই ঘটনাটি কারণেই গুরুত্বপূর্ণ যে এতে ইসলামে অলৌকিকতার স্বরুপ বুঝা যায়। অবশ্য ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে এটি অলৌকিক নয়; কারণ ধর্মীয় মতে এই ঘটনাটি ফেরেশতাদের দ্বারা সম্পন্ন হয় এবং এই ফেরেশতা হলেন জীবরাইল। এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে সিনা চাকের ঘটনা হিসেবে খ্যাত।

[সম্পাদনা করুন] বাল্য ও কৈশোর কাল

  • মাতৃবিয়োগ:

এই ঘটনার পরই হালিমা মুহাম্মদকে মা আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন। ছয় বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি মায়ের সাথে কাটান। এই সময় একদিন আমিনার ইচ্ছা হয় ছেলেকে নিয়ে মদীনায় যাবেন। সম্ভবত কোন আত্মীয়ের সাথে দেখা করা এবং স্বামীর কবর জিয়ারত করাই এর কারণ ছিল। আমিনা ছেলে, শ্বশুর এবং দাসী উম্মে আয়মনকে নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মদীনায় পৌঁছেন। তিনি মদীনায় একমাস সময় অতিবাহিত করেন। একমাস পর মক্কায় ফেরার পথে আরওয়া নামক স্থানে এসে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।

  • দাদার মৃত্যু:

মাতার মৃত্যুর পর দাদা আবদুল মোত্তালেব শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে মক্কায় পৌঁছেন। এর পর থেকে দাদাই মুহাম্মদের দেখাশোনা করতে থাকেন। তিনি শিশু নবীকে নিজের সন্তানদের থেকেও অধিক ভালবাসতেন। ইবনে হিশাম তার সীরাত গ্রন্থে লিখেছেন "আবদুল মোত্তালেবের জন্য কাবাঘরের ছায়ায় বিছানা পেতে দেয়া হতো। তার সব সন্তান সেই বিছানার চারদিকে বসতো। কিন্তু মোহাম্মদ গেলে বিছানায়ই বসতেন। বালক মোহাম্মদের কাজকর্ম তাকে আনন্দ দিতো।"
মোহাম্মদের বয়স যখন ৮ বছর ২ মাস ১০ দিন তখন তার দাদাও মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তার পুত্র আবু তালিবকে মোহাম্মদের দায়িত্ব দিয়ে যান।

  • সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা:

আবু তালিবের বাড়িতে মুহাম্মদ বেড়ে উঠতে থাকেন। চাচা তাকে অসম্ভব আদর করতেন এবং মুহাম্মদও চাচাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতেন। যেমন তিনি অন্যান্য বালকদের মতই মাঠে আবু তালিবের ছাগল চড়াতেন। কিন্তু এ সময় থেকেই তাকে চিন্তাশীল মনে হত।
আবু তালিব ব্যবসায়ী ছিলেন এবং আরবদের নিয়ম অনুযায়ী বছরে একবার সিরিয়া সফরে যেতেন। মুহাম্মদের বয়স যখন ১২ ব্ছর তখন তিনি চাচার সাথে সিরিয়া যাওয়ার জন্য বায়না ধরলেন। প্রগাঢ় মমতার কারণে আবু তালিব আর নিষেধ করতে পারলেননা। যাত্রাপথে বসরা পৌঁছার পর কাফেলাসহ আবু তালিব তাঁবু ফেললেন। সে সময় আরব উপদ্বীপের রোম অধিকৃত রাজ্যের রাজধানী বসরা অনেক দিক দিয়ে সেরা ছিল। কথিত আছে, শহরটিতে জারজিস সামে এক খ্রিস্টান পাদ্রী ছিলেন যিনি বুহাইরা বা বহিরা নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি তার গীর্জা হতে বাইরে এসে কাফেলার মুসাফিরদের মেহমানদারী করেন। এ সময় তিনি বালক মুহাম্মদকে দেখে শেষ নবী হিসেবে চিহ্নিত করেন। কারণ তিনি তার অন্তর দৃষ্টি দিয়ে লক্ষ্য করেন যে সব গাছপালা, পাথর এই বালকটিকে সেজদা করছে। তিনি স্বগতোক্তি করেন, "এতো সেই সাইয়েদুল মুরসালীন, অতীতের সমস্ত নবী যার আগমন সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন।" তিনি আবু তালিবকে মুহাম্মদকে সিরিয়ায় নিয়ে যেতে নিষেধ করেন; কারণ সেখানকার ইহুদীরা তার ক্ষতি করতে পারে। পাদ্রীর কথা শুনে মুহাম্মদকে কয়েকজন ভৃত্যের মাধ্যমে মক্কায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

[সম্পাদনা করুন] ফুজ্জারের যুদ্ধ

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ফুজ্জার যুদ্ধ ফুজ্জারের যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন নবীর বয়স ১৫ বছর। এই যুদ্ধে তিনি স্বয়ং অংশগ্রহন করেন। যুদ্ধের নির্মমতায় তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন। কিন্তু তাঁর কিছু করার ছিলনা। সে সময় থেকেই তিনি কিছু একটি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেন।

[সম্পাদনা করুন] যৌবনকাল

  • হিলফুল ফুজুল:

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: হিলফুল ফুজুল মূলত আরবদের মধ্যে উপস্থিত হিংশ্রতা, খেয়ানতদারীতা এবং প্রতিশোধমূলক মনোভাব দমনের জন্যই হিলফুল ফুজুলের প্রতিষ্ঠা হয়। মুহাম্মদ এতে যোগদান করেন এবং এই সংঘকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিরাট ভূমিকা রাখেন। কিন্তু একসময় তিনি বুঝতে পারেন যে মানুষের সমগ্র সামাজিক জীবনের পুনর্বিন্যাস ব্যতিত মুক্তি অসম্ভব।

  • ব্যবসা:

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় তরুণ বয়সে মুহাম্মদের তেমন কোন পেশা ছিলনা। তবে তিনি বকরি চরাতেন বলে অনেকেই উল্লেখ করেছেন। সাধারণত তিনি যে বকরিগুলো চরাতেন সেগুলো ছিল বনি সা'দ গোত্রের। কয়েক কিরাত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তিনি মক্কায় বসবাসরত বিভিন্ন ব্যক্তির বকরিও চরাতেন। এরপর তিনি ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা তত্কালীন আরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা ছিল। মুহাম্মদ অল্প সময়ের মধ্যেই একাজে ব্যাপক সফলতা লাভ করেন। এর মূল কারণ ছিল তার আমানতদারিতা, সদাচরণ, ন্যায়পরায়নতা এবং বিশ্বস্ততা। এতই খ্যাতি তিনি লাভ করেন যে তার উপাধি হয়ে যায় আল আমিন এবং আল সাদিক যেগুলোর বাংলা অর্থ হচ্ছে যথাক্রমে বিশ্বস্ত এবং সত্যবাদী। ব্যবসা উপলক্ষ্যে তিনি সিরিয়া, বসরা, বাহরাইন এবং ইয়েমেনে বেশ কয়েকবার সফর করেন।
মুহাম্মদের সুখ্যাতি যখন চারতিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ তা অবগত হয়েই তাকে নিজের ব্যবসার জন্য সফরে যাবার অনুরোধ জানান এবং বলেন যে অন্যদের তিনি যে পারিশ্রমিক দেন তা ই দেবেন। তিনি অত্যন্ত অভিজাত এবং সম্পদমালী মহিলা ছিলেন। মুহাম্মদ এই প্রস্তাব গ্রহন করেন এবং খাদীজার পণ্য নিয়ে সিরিয়ার অন্তর্গত বসরা পর্যন্ত যান। খাদীজা মুহাম্মদের সাথে তার একজন বিশ্বস্ত ক্রীতদাস মাইছারাকে পাঠান। এই ব্যবসায় তিনি অসামান্য মুনাফা লাভ করেন এবং এর পর আরো কয়েকবার সফরে য্ন।

  • বিয়ে এবং সন্তানাদি:

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবন খাদীজা মাইছারার মুখে মুহাম্মদের সততা ও ন্যায়পরায়নতার ভূয়সী প্রশংশা শুনে অভিভূত হন। এছাড়া ব্যবসার সফলতা দেখে তিনি তার যোগ্যতা সম্বন্ধেও অবহিত হন। এক পর্যায়ে তিনি মুহাম্মদকে ভালবেসে ফেলেন। তিনি তার বান্ধবী নাফিসা বিনতে মুনব্বিহরের কাছে বিয়ের ব্যাপরে তার মনের কথা ব্যক্ত করেন। নাফিসার কাছে শুনে মুহাম্মদ বলেন যে তিনি তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন জানাবেন। অবশ্য মানসিকভাবে তিনি তখনই রাজি ছিলেন। মুহাম্মদ তাঁর চাচাদের সাথে কথা বলে বিয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করেন। নির্দিষ্ট দিনে তিনি আবু তালিব, হামযা এবং বংশের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে খাদীজার বাড়িতে যান এবং তাদের বিয়ের খুৎবা পড়ান আবু তালিব। বিয়ের সময় খাদীজার বয়স ছিল ৪০ আর মুহাম্মদের বয়স ছিল ২৫। খাদীজার জীবদ্দশায় তিনি আর কোন বিয়ে করেননি। এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: মুহাম্মদের সন্তানাদি খাদীজার গর্ভে মুহাম্মদের ৬ জন সন্তান জন্মগ্রহন করে যার মধ্যে ৪ জন মেয়ে এবং ২ জন ছেলে। তাদের নাম যথাক্রমে কাসেম, যয়নাব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম, ফাতিমা এবং আবদুল্লাহ। ছেলে সন্তান দুজনই শৈশবে মারা যায়। মেয়েদের মধ্যে সবাই ইসলামী যুগ পায় এবং ইসলাম গ্রহন করে এবং একমাত্র ফাতিমা ব্যতিত সবাই নবীর জীবদ্দশাতেই মৃত্যুবরণ করে।

[সম্পাদনা করুন] কা'বা গৃহের সংস্কারকাজ

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: কা'বা গৃহ মুহাম্মদের বয়স যখন ৩৫ বছর তখন কা'বা গৃহের পূনঃনির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ তখন কাবাঘরের চারদিকে কেবল মানুষের উচ্চতার চেয়ে সামান্য বেশী উচ্চতাবিশিষ্ট একটি দেয়াল ছিল যার উচ্চতা ইসমাইলের সময়ই ছিল মাত্র নয় হাত; এর উপরে কোন ছাদও ছিল না। ফলে রাতে চোর ঢুকে বিভিন্ন সম্পদ চুরি করত। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কারণে কাবা গৃহের সংস্কার কাজ শুরু হয়। পুরনো ইমারত ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করা শুরু হয়। এভাবে পুনঃনির্মানের সময় যখন হাজরে আসওয়াদ (পবিত্র কালো পাথর) পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয় তখনই বিপত্তি দেখা দেয়। মূলত কোন গোত্রের লোক এই কাজটি করবে তা নিয়েই ছিল কোন্দল। নির্মাণকাজ সব গোত্রের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হাজরে আসওয়াদ স্থাপন ছিল একজনের কাজ। কে স্থাপন করবে এ নিয়ে বিবাদ শুরু হয় এবং চার পাঁচ দিন যাবৎ এ বিবাদ চলতে থাকার এক পর্যায়ে এমনই মারাত্মক রূপ ধারণ করে যে হত্যা পর্যন্ত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় আবু উমাইয়া মাখজুমি একটি সমাধান নির্ধারণ করে যে পরদিন প্রত্যুষে মসজিদে হারামের দরজা দিয়ে যে প্রথম প্রবেশ করবে তার সিদ্ধান্তই সবাই মেনে নেবে। পরদিন মুহাম্মদ সবার প্রথমে কাবায় প্রবেশ করেন। এতে সবাই বেশ সন্তুষ্ট হয় এবং তাকে বিচারক হিসেবে মেনে নেয়। আর তার প্রতি সবার ব্যপক আস্থাও ছিল। যা হোক এই দায়িত্ব পেয়ে মুহাম্মদ অত্যন্ত সুচারুভাবে ফয়সালা করেন। তিনি একটি চাদর বিছিয়ে তার উপর নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ রাখেন এবং বিবদমান প্রত্যেক গোত্রের নেতাদের ডেকে তাদেরকে চাদরের বিভিন্ন কোণা ধরে যথাস্থানে নিয়ে যেতে বলেন এবং তারা তা ই করে। এরপর তিনি পাথর উঠিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করেন। এই সমাধানে সবাই খুব সন্তুষ্ট হয়। এই ঘটনা থেকে মুহাম্মদের প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের স্বভআবসুলভ গুণাবলির পরিচয় পাওয়া যায়।

[সম্পাদনা করুন] নবুয়তের পূর্বের জীবন

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: নবুওয়তের পূর্বে মুহাম্মদ

একাদশ শতাব্দীর পারসিয়ান কুরআনের একটি পৃষ্ঠা
বড় করুন
একাদশ শতাব্দীর পারসিয়ান কুরআনের একটি পৃষ্ঠা

তত্কালীন আরব সমাজ পংকীলতায় নিমজ্জিত থাকলেও মুহাম্মদের জীবনে তার কোনকিছুই প্রবেশ করতে পারেনি। তিনি কখনও মদ স্পর্শ করেননি, আস্তানায় জবাই করা পশুর মাংস খাননি, কোন মূর্তির সামনে মাথা নত করেননি, মূর্তিপূজার জন্য আয়োজিত কোন উত্সব বা মেলায় অংশ নেননি; এছাড়া তিনি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করতেন, যেকোন বিষয় সম্বন্ধে গভীর ধ্যান করতেন আর সর্বদাই মানবসমাজের উন্নত মানস গঠনের উপায় উপকরণ সম্বন্ধে চিন্তিত থাকতেন। ইবনে আছিরের বর্ণনামতে জীবনে দুইবারের বেশী কখনই নবীর মনে অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের কোন প্রথা পালনের ইচ্ছা জাগেনি, আর সেই দুইবারও তাকে কাজটি করতে হয়নি। যেমন একবার মক্কার উপকণ্ঠে বকরী চড়ানোর সময় তার সাথের এক বালককে তার বকরীগুলো দেখতে বলেন এবং তিনি আরবের যুবকদের প্রথাগত আড্ডায় অংশ নিতে রওয়ানা হন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি এক বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে বসে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন, ফলে তার আর আড্ডায় যাওয়া হয়নি। তার এসকল গুণে মুগ্ধ হয়ে আরববাসীরা তাকে আল আমীন ডাকত।

[সম্পাদনা করুন] মক্কী জীবন

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: হিজরতের পূর্বে মুহাম্মদ

হেরা গুহা, এখানেই মুহাম্মদ প্রথম প্রত্যাদেশ পান
বড় করুন
হেরা গুহা, এখানেই মুহাম্মদ প্রথম প্রত্যাদেশ পান

[সম্পাদনা করুন] মাদানী জীবন

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: মদীনায় মুহাম্মদ

[সম্পাদনা করুন] মক্কা বিজয়

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: মুসলমানদের মক্কা বিজয়

[সম্পাদনা করুন] মক্কা বিজয়ের পর

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: মক্কা বিজয়ের পরে মুহাম্মদ

চিত্র:Muhammad-Letter-To-Heraclius.jpg
"হিরাক্লিয়াসের কাছে প্রেরিত মুহাম্মদের মূল চিঠি"

[সম্পাদনা করুন] মৃত্যু

চিত্র:S78669.jpg
মুহাম্মদের তরবারি

[সম্পাদনা করুন] সংস্কারক হিসেবে মুহাম্মদ

[সম্পাদনা করুন] সামাজিক নিরাপত্তা এবং পারিবারিক কাঠামো

[সম্পাদনা করুন] দাসপ্রথা

[সম্পাদনা করুন] নারী অধিকার

[সম্পাদনা করুন] সামাজিক পুনর্গঠন

[সম্পাদনা করুন] অর্থনৈতিক সংস্কার

[সম্পাদনা করুন] সাহিত্য সংস্কার

[সম্পাদনা করুন] অন্যান্য সংস্কার

[সম্পাদনা করুন] ইসলামী বর্ণনামতে মুহাম্মদের অলৌকিকত্ব

[সম্পাদনা করুন] ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে মুহাম্মদের অবদান

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে মুহাম্মদের অবদান

[সম্পাদনা করুন] আরও দেখুন

  • সাহাবা
  • খুলাফায়ে রাশেদীন
  • আমিনা
  • আব্দুল্লাহ
  • হালিমা
  • আব্দুল মুত্তালিব
  • আবু তালিব
  • হিলফুল ফুজুল
  • ইসলাম
  • আল কুরআন
  • হাদিস
  • মুহাম্মদের স্ত্রীগণ

[সম্পাদনা করুন] তথ্যসূত্র

  • আর রাহিকুল মাখতুম
  • Muhammad at Mecca - Montgomary Watt
  • Muhammad at Medina - Montgomary Watt
  • রসূলুল্লাহ্‌র বিপ্লবী জীবন - আবু সলীম মুহাম্মদ আবদুল হাই
  • বিশ্বনবী - গোলাম মোস্তফা
  • Muhammad: Biography of Prophet - Karen Armstrong
  • সীরাতে সারওয়ারে আলম - সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী
  • সীরাতে খাতামুন নাবিয়্যিন -
  • মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ (সাঃ) - নঈম সিদ্দিকী

[সম্পাদনা করুন] সহায়ক পাঠ্যসমূহ

  • Andrae, Tor (2000). Mohammed: The Man and His Faith. Dover. ISBN 0-486-41136-2.
  • Armstrong, Karen (1993). Muhammad: A Biography of the Prophet. San Francisco: Harper. ISBN 0-06-250886-5.
  • Cook, Michael (1983). Muhammad. Oxford University Press. ISBN 0-19-287605-8 (reissue 1996).
  • Dashti, Ali (1994). Twenty-Three Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad. Mazda. ISBN 1-56859-029-6.
  • Glubb, John Bagot (1970). The Life and Times of Muhammad. Hodder & Stoughton. ISBN 0-8154-1176-6 (reprint 2002).
  • Guillaume, Alfred, ed. (1955). The Life of Muhammad: A Translation of Ibn Ishaq's Sirat Rasul Allah. Oxford University Press. ISBN 0-19-636033-1.
  • Hamidullah, Muhammad (1998). The Life and Work of the Prophet of Islam. [s.n.](Islamabad: Islamic Research Institute). ISBN 969-8413-00-6.
  • Haykal, Muhammad Husayn (1995). The Life of Muhammad. Islamic Book Service. ISBN 1-57731-195-7.
  • Lings, Martin (1987). Muhammad: His Life Based on Earliest Sources. Inner Traditions International, Limited. ISBN 0-89281-170-6.
  • Motzki, Harald, ed. (2000). The Biography of Muhammad: The Issue of the Sources (Islamic History and Civilization: Studies and Texts, Vol. 32). Brill. ISBN 90-04-11513-7.
  • Rodinson, Maxime (1961). Muhammad. New Publishers. ISBN 1-56584-752-0.
  • Rubin, Uri (1995). The Eye of the Beholder: The Life of Muhammad as Viewed by the Early Muslims (A Textual Analysis). Darwin Press. ISBN 0-87850-110-X.
  • Schimmel, Annemarie (1985). And Muhammad is His Messenger: The Veneration of the Prophet in Islamic Piety. The University of North Carolina Press. ISBN 0-8078-4128-5.
  • Warraq, Ibn (2000). The Quest for the Historical Muhammad. Prometheus Books. ISBN 1-57392-787-2.
  • Watt, W. Montgomery (1961). Muhammad: Prophet and Statesman. Oxford University Press. ISBN 0-19-881078-4.
  • Berg, Herbert (Ed.) (2003). Method and Theory in the Study of Islamic Origins. E. J. Brill. ISBN 90-04-12602-3.
  • Lewis, Bernard (2002). The Arabs in History, 6th edition, Oxford University Press. ISBN 0-19-280310-7.
  • Stillman, Norman (1975). The Jews of Arab Lands: a History and Source Book. Jewish Publication Society of America. ISBN 0-8276-0198-0.

[সম্পাদনা করুন] বহিঃসংযোগ

উইকিমিডিয়া কমন্সে নিম্নের বিষয় সংক্রান্ত ছবি, অডিও বা ভিডিও রয়েছে:
উইকিউক্তি তে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহিত উক্তি আছে:

[সম্পাদনা করুন] সাধারণ

[সম্পাদনা করুন] মুসলিম রচিত

[সম্পাদনা করুন] অমুসলিম রচিত

কুরআনে উল্লেখিত ইসলামের পয়গম্বরবৃন্দ
আদম ইদ্রিস নূহ হুদ সালেহ ইব্রাহিম লুত ইসমাইল ইসহাক ইয়াকুব ইউসুফ আইয়ুব
آدم ادريس نوح هود صالح ابراهيم لوط اسماعيل اسحاق يعقوب يوسف أيوب
Adam Enoch Noah Heber Shelah Abraham Lot Ishmael Isaac Jacob Joseph Job

শুয়াইব মূসা হারুন যুল কিফ্‌ল দাঊদ সুলাইমান ইলিয়াস আল ইয়াসা ইউনুস জাকারিয়া ইয়াহিয়া ঈসা মুহাম্মদ (সাঃ)
شعيب موسى هارون ذو الكفل داود سليمان إلياس اليسع يونس زكريا يحيى عيسى محمد
Jethro Moses Aaron Ezekiel David Solomon Elijah Elisha Jonah Zacharias John Jesus
v·d·e
Our "Network":

Project Gutenberg
https://gutenberg.classicistranieri.com

Encyclopaedia Britannica 1911
https://encyclopaediabritannica.classicistranieri.com

Librivox Audiobooks
https://librivox.classicistranieri.com

Linux Distributions
https://old.classicistranieri.com

Magnatune (MP3 Music)
https://magnatune.classicistranieri.com

Static Wikipedia (June 2008)
https://wikipedia.classicistranieri.com

Static Wikipedia (March 2008)
https://wikipedia2007.classicistranieri.com/mar2008/

Static Wikipedia (2007)
https://wikipedia2007.classicistranieri.com

Static Wikipedia (2006)
https://wikipedia2006.classicistranieri.com

Liber Liber
https://liberliber.classicistranieri.com

ZIM Files for Kiwix
https://zim.classicistranieri.com


Other Websites:

Bach - Goldberg Variations
https://www.goldbergvariations.org

Lazarillo de Tormes
https://www.lazarillodetormes.org

Madame Bovary
https://www.madamebovary.org

Il Fu Mattia Pascal
https://www.mattiapascal.it

The Voice in the Desert
https://www.thevoiceinthedesert.org

Confessione d'un amore fascista
https://www.amorefascista.it

Malinverno
https://www.malinverno.org

Debito formativo
https://www.debitoformativo.it

Adina Spire
https://www.adinaspire.com