মৌর্য রাজবংশ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মৌর্য রাজবংশের সূচনা হয় আনূমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩২৪ অব্দে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ছিলেন মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। এই মৌর্য রাজবংশেই প্রচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক সম্রাট অশোক এর জন্ম হয়।
মৌর্য বংশের রাজারা চতুর্থ- তৃতীয় খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন। মগধের নন্দ বংশীয় রাজবংশকে পরাজিত করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এ কাজে তাকে সাহায্য করেন চাণক্য বা কৌটিল্য নামে খ্যাত বিচক্ষন ব্যক্তি। কথিত আছে যে, নন্দ বংশীয় রাজার কাছে অপমানিত হয়ে চাণক্য ভিন্দিয়া অরণ্যে চলে যান। সেখানেই চন্দ্রগুপ্তের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে।
আলেক্সান্ডার এর আক্রমণের পর ভারতীয় দের মধ্যে এককেন্দ্রিক সাম্রাজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। সেই চিন্তাধারার অনুসারী চন্দ্রগুপ্ত ভারত উপমহাদেশে আলেক্সান্ডারের উত্তরসূরী ম্যাসিডোনিয়ান সেনাপতি সেলুকাস নিকেটর কে পরাজিত করেন।এভাবে মৌর্য সাম্রাজ্যের অবস্থান সুসংহত হয়। মৌর্য সাম্রাজ্য বাস্তবে ভারতের প্রথম বৃহৎ আকারের এবং শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিল।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
মৌর্য রাজ বংশের প্রতিষ্টাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। তাঁর শাসনকাল ৩২৪-৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। তাঁর পরামর্শ দাতা প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌটিল্যের মন্ত্রণায় ও নিজ বাহুবলে তিনি ভারত বর্ষের বুক থেকে বিদেশী গ্রিক শক্তিকে পরাজিত করেন। এছাড়া দেশীয় নন্দরাজকে পরাজিত করে তিনি এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন।
[সম্পাদনা করুন] বিন্দুসার
মৌর্য বংশের চন্দ্রগুপ্ত পরবর্তী রাজার নাম রাজা বিন্দুসার। তাঁর রাজত্বকাল আনুমানিক ৩০০-২৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। তাঁর রাজত্ব কাল সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য জানা যায়নি।
[সম্পাদনা করুন] বিক্রমাদিত্য
[সম্পাদনা করুন] অশোক
বিন্দুসারের মৃত্যুর পরে তার পুত্র অশোক মৌর্য বংশের সিংহাসণে আরোহন করেন। তাঁর রাজত্ব কাল আনুমানিক ২৭২-২৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। তিনি ছিলেন প্রাচীন ভারতের সর্বশ্রেষ্ট সম্রাট। তিনি সূদীর্ঘ ৩৬ বছর রাজত্ব করেন।
[সম্পাদনা করুন] কলিঙ্গ যুদ্ধ
তাঁর সিংহাসন লাভের বারো বছর পরে, কলিঙ্গ যুদ্ধে অসংখ্য জীবনহানির ঘটনায় তিনি মর্মাহত হন এবং বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করে অহিংস নীতির অনুসারী হন। তাঁর আমলে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক বিস্তার ঘটে।
[সম্পাদনা করুন] পতন
অশোকের মৃত্যুর পরে মৌর্য বংশের শেষ নরপতি বৃপদ্রর্থ নিজ সেনাপতি কর্তৃক নিহত হবার পর, মৌর্য বংশের সমাপ্তি ঘটে।