ফাউন্ডেশন সিরিজ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফাউন্ডেশন সিরিজ আইজাক আসিমভের লেখা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। এই সিরিজের বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। এই সিরিজের প্রথম তিনটি বই ফাউন্ডেশন ট্রিলজি নামে ১৯৬৬ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড সাইন্স ফিকশন কনভেনশন থেকে ভোটের মাধ্যমে বেস্ট অল টাইম সাইন্স ফিকশন সিরিজ হিসেবে হুগো এওয়ার্ড এর জন্য নির্বাচিত হয়।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] ফাউন্ডেশন সিরিজের অন্তর্গত বই
- ফাউন্ডেশন (Foudation)
- ফাউন্ডেশন এন্ড এম্পায়ার (Foundation and Empire)
- সেকেন্ড ফাউন্ডেশন (Second Foundation)
- ফাউন্ডেশন এজ (Foundation Age)
- ফাউন্ডেশন এন্ড আর্থ (Foundation and Earth)
- প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন (Prelude to Foundation)
- ফরওয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশন (Forward the Foundation)
[সম্পাদনা করুন] রচনাকাল
ফাউন্ডেশন সিরিজের প্রথমদিকের গল্পগুলো প্রকাশিত হয় এস্টাউন্ডিং পত্রিকার ১৯৪২ সালের মে-জুন সংখ্যায়। ১৯৫১, ১৯৫২ এবং ১৯৫৩ সালে যথাক্রমে ফাউন্ডেশন, ফাউন্ডেশন এন্ড এম্পায়ার এবং সেকেন্ড ফাউন্ডেশন বই আকারে প্রকাশিত হয়। এর পরে আসিমভ ফাউন্ডেশন লেখা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ সময় পর আবার লেখা শুরু করেন ভক্ত ও প্রকাশকদের চাপে। ফলশ্রুতিতে প্রকাশ পায় ফাউন্ডেশন এজ (১৯৮১), ফাউন্ডেশন এন্ড আর্থ(১৯৮৬), প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন(১৯৮৮), ফরওয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশন(১৯৯৩)। শেষ দুইটি বই ছিল প্রথম বই ফাউন্ডেশন -এর প্রিকুয়াল।
[সম্পাদনা করুন] সার সংক্ষেপ
[সম্পাদনা করুন] প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন
গ্যালাকটিক এরার ১২,০২০ সালে ট্রানটরে পদার্পন করেন গণিতবিদ হ্যারি সেলডন তার বিখ্যাত থিওরি অব প্রেডিকশন নিয়ে। কিন্তু নিজের বিস্ময়কর মেধার কারণে তাকে পরিণত হতে হয় মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যাক্তিতে। যখন তিনি বুঝতে পারেন তার আবিস্কারের গুরুত্ব তখন সিদ্ধান্ত নেন এর উৎকর্ষ সাধনের। তার বিপরীতে যখন স্বয়ং গালাক্সীর সম্রাট তখন সাহায্য পান এক অদ্ভুত ক্ষমতাধর ব্যাক্তির।
[সম্পাদনা করুন] ফরওয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশন
[সম্পাদনা করুন] ফাউন্ডেশন
ত্রয়োদশ সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে মানুষ বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতায় পৌছে যায়। মানুষ গ্যালাক্সীর বেশিরভাগ গ্রহে বসতি করতে সক্ষম হয়। তার মধ্যে অধিকাংশ গ্রহই গ্যালাকটিক এম্পায়ারের শাসনভুক্ত। সেই সময়ে গ্যালাকটিক এম্পায়ারের রাজধানী ট্রানটরে আবির্ভাব হয় সাইকোহিস্ট্রির জনক হ্যারী সেলডনের। তিনি সাইকোহিস্ট্রির মাধ্যমে ভবিষ্যতবানী করেন- শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে ত্রিশ হাজার বছর স্থায়ী চরম আরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এর থকে উদ্ধারের পথ তিনিই বলে দেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন শক্তি। তার দেখানো পথে এগিয়ে চলে ফাউন্ডেশন- যা হবে নতুন সম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
[সম্পাদনা করুন] ফাউন্ডেশন এন্ড এম্পায়ার
উন্নত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের সহায়তায় ফাউন্ডেশন যখন আশেপাশের রাজ্যগুলোতে প্রভাব বিস্তার করেতে সমর্থ হয়, তখনই তাদের মুখোমুখি হয় এম্পায়ার। এম্পায়ারের উচ্চাভিলাষি এক জেনারেল আক্রমন করতে উদ্যত হয় নিরস্ত্র ফাউন্ডেশনকে। সেই সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই ফাউন্ডেশন তার অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে এক অস্বাভাবিক ক্রিয়েচারের সামনে যা একটি মিউট্যান্ট ইন্টেলিজেন্স। যে তার অসাধারণ মেন্টাল পাওয়ার দিয়ে ফাউন্ডেশনকে নিয়ে যায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সেখানে তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে সেলডনের-ই একটি গোপন প্রজেক্ট।
[সম্পাদনা করুন] সেকেন্ড ফাউন্ডেশন
গ্যালাকটিক এম্পায়ার যখন ভেঙ্গে পড়ছে তখন নতুন সম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ফাউন্ডেশনকেও ধ্বংসের মুখোমুখি করে মিউল-মিউট্যান্ট ইন্টেলিজেন্স। তখন ফাউন্ডেশনকে আবার আগের লক্ষ্যে ফিরিয়ে আনতে আত্মপ্রকাশ করে নতুন এক শক্তি সেকেন্ড ফাউন্ডেশন- যা হ্যারি সেলডনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে মেন্টাল সাইন্টিস্টদের নিয়ে। ফাউন্ডেশন এর প্রয়োজনে যাদেরকে গোপন করে রাখা হয়েছিল।
[সম্পাদনা করুন] ফাউন্ডেশন এজ
গ্যালাক্সিতে ফাউন্ডেশন সবচেয়ে বড় শক্তিতে পরিণত হয়। যাদের শক্তি ও প্রভাব আগের সম্রাজ্য এম্পায়ার এর চাইতেও সুষম। এমতাবস্থায় ফাউন্ডেশন এর রাজধানী টার্মিনাসের কাউন্সিলম্যান গোলান ট্রাভিজ মনে করেন সেকেন্ড ফাউন্ডেশন এর অস্তিত্ব রয়েছে। তার এই ধারণার কথা মেয়রের কাছে ফাস হয়ে গেলে ট্রভিজকে মেয়র অত্যাধুনিক মাহাকাশযান দিয়ে নির্দেশ দেন সেকেন্ড ফাউন্ডেশন খুজে বের করার জন্য। তাকে অনুসরণ করে প্রথম ও দ্বিতীয় ফাউন্ডেশন পরস্পরের মুখোমুখি হয়। উভয়েই চায় একে অপরকে ধ্বংস করতে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাভিজকে নিতে হয় গ্যালাক্সির ভাগ্য নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
[সম্পাদনা করুন] ফাউন্ডেশন এন্ড আর্থ
গোলান ট্রাভিজ এর নতুন অভিযান শুরু হয় এক অভিনব প্রশ্নকে সামনে রেখে। মানবজাতির আদি গ্রহ- প্ল্যানেট অব অরিজিন এর খোঁজে ট্রাভিজের সঙ্গী হয় জেনভ পোলারেট। মুখোমুখি হয় আদি গ্রহ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কারের।