নক্ষত্র (চন্দ্রনিবাস)
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্ব্যর্থতা নিরসনের জন্য দেখুন: নক্ষত্র (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে নক্ষত্র হল চন্দ্রপথের ২৭ টি ভাগের প্রতিটির নাম। সূর্যের গতিপথকে যেমন ১২ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে রাশি তেমনি চন্দ্রপথকে ২৭ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে নক্ষত্র। বিভিন্ন দেশে এই চন্দ্রনিবাসসমূহের নাম বিভিন্ন। গ্রিসে এধরণের কোন চন্দ্রনিবাসের কল্পনাও করা হয়নি। সাধারণত দেখা যায় ২.২৫ নক্ষত্রে এক রাশি হয়।
[সম্পাদনা করুন] নক্ষত্রসমূহ
- অশ্বিনী
- ভরণী
- কৃত্তিকা
- রোহিণী
- মৃগশিরা
- আর্দ্রা
- পুনর্বসু
- পুষ্যা
- অশ্লেষা
- মঘা
- পূর্ব ফাল্গুনি
- উত্তর ফাল্গুনি
- হস্তা
- চিত্রা
- স্বাতী
- বিশাখা
- অনুরাধা
- জ্যেষ্ঠা
- মূলা
- পূর্বাষাঢ়া
- উত্তরাষাঢ়া
- শ্রবণা
- ধনিষ্ঠা
- শতভিষা
- পূর্ব ভাদ্রপদ
- উত্তর ভাদ্রপদ
- রেবতী
[সম্পাদনা করুন] নক্ষত্রের তাৎপর্য
চাঁদ প্রত্যেক তিথিতে একেকটি নক্ষত্রের কাছে অবস্থান করে। পূর্ণিমার দিন চাঁদ যে নক্ষত্রে অবস্থান করে তদনুসারে মাসের নাম বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ইত্যাদি রাখা হয়েছে। প্রত্যেক নক্ষত্রের আকাশস্থানের পরিমাণ (৩৬০ / ২৭ = ১৩ ডিগ্রী ২০ মিনিট)। প্রতিটি নক্ষত্রের একটি বিশেষ তারাকে (সাধারণত উজ্জ্বলতম তারাকে) নির্দিষ্ট করা হয় এবং একে যোগতারা বলা হয়। কোন নক্ণত্রের আদিবিন্দু থেকে ঐ নক্ষত্রের যোগতারা পর্যন্ত ভূকক্ষের অংশকে উক্ত নক্ষত্রের ভোগ বরা হয়। শাস্ত্রে নক্ষত্রের অবস্থান এবং যোগতারা নির্দিষ্ট করা আছে। তাই প্রত্যেক নক্ষত্রের ভোগ নির্দিষ্ট। এর কোন পরিবর্তন হয়না।
[সম্পাদনা করুন] হিন্দু পুরাণ
হিন্দু পুরাণে ২৭ টি নক্ষত্র নিয়ে গল্প আছে।